বর্তমান সরকার রাজনৈতিক কারণে এমপিও ভুক্ত দেয়নি কখনো দেবে না, বললেন শিক্ষামন্ত্রী

বাংলাদেশের মাধ্যমিক স্কুল ফলে ও মাদ্রাসা এমপিওর আওতায় আনার জন্য শত শত শিক্ষক-শিক্ষিকা ঢাকায় প্রেসক্লাবের সামনে আজ টানা তৃতীয় দিনের অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। তারা বলছেন বার বার প্রতুশ্রুতি দিয়েও তাদের দাবি না মানায় এবার তারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞা সরকারের প্রতিশ্রুতি না পাওয়া পর্যন্ত আবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রাখবেন।

এমপিও হয়নি এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা সাড়ে পাঁচ হাজারের মত। ঢাকার হাইকোটের সামনে থেকে শুরু করে জাতিয় প্রেসক্লাবের গেইট পযন্ত দিন তাদের অবস্থান।

শুক্রবার শিক্ষক কর্মচারি ফেডারেশনের আহব্বানে শত শত শিক্ষক অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে এই শিক্ষকদের অনেকের হাতে ব্যাগ পোটলা ছিলো।

তাদের দাবি ১০-১৪ বছর ধরে তারা বিনা বেতনে কেউ স্কুলে, কেউ কলেজে এবং কেউবা আবার মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। এর আগেও তারা অনুরূপ সমাবেশ করে খালি হাতে ফেরত গেছেন। এবার তারা খালি হাতে ফিরবেন না বলে হুমকি দেন। তারা প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তাদের দাবি মেনে নেয়ার জন্য।

আলোচ্য শিক্ষকরা কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানের নন। বিবিসি প্রশ্ন করে, সরকার কেন তাদের দায়িত্ব নেবে? কেন তাদের পেছনে সরকার মোটা অংকের টাকা ব্যয় করবে?

এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেছে বেশির ভাগই ব্যক্তিগত পর্যায়। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজনীয় শিক্ষার্থী নেই। শিক্ষকদের এক নেতা বলেন, ব্যক্তিগত পর্যয়ে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেছে একথা আংশিক সত্য। কিন্তু অঞ্চলের প্রয়োজনে এসব গড়ে উঠেছে। এবং সরকারি নিয়ম মেনেই গড়ে ওঠেছে। সাবেক উপদেষ্ঠা হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, এদের কারো কারো দাবির যথর্থতা না থাকলেও শিক্ষা ক্ষেত্রে একটি শূণ্যতা প্রতিষ্ঠানগুলো পূরণ করে চলেছে।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, কিছু দিনের মধ্যে কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও ভুক্ত করা হবে। সরকার ১৪ টি শর্ত দিয়ে অনলাইনে আবেদন আহবান করেছিলো। এর মধ্যে যে গুলোকে যথার্থ মনে হবে তাদেরকে এমপিও প্রদানের প্রক্রিয়া চলছে। তিনি বলেন, এই সরকার রাজনৈতিক কারণে কোনো প্রতিষ্ঠানকে এমপিও দেয়নি, দেবে না। যারা প্রয়োজনীয় সক্ষমতা দেখাতে পারবে তাদের প্রতিষ্ঠানগুলোই এমপিও ভুক্ত করা হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment